Cat Health

বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় || কারণ, লক্ষণ, করণীয় ও চিকিৎসা 

বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় || কারণ, লক্ষণ, করণীয় ও চিকিৎসা 

আপনার চটপটে বিড়ালটি হঠাৎ করে শান্তশিষ্ট্য হয়ে গেছে, নড়াচড়া রকম করছে খাওয়া-দাওয়া অনিহা। চিন্তা করছেন হঠাৎ করে কি হতে পারে? খুব চিন্তার কোন কারণ নেই, হতে পারে আপনার আদরের  বিড়ালটি খানিকের জন্য অসুস্থ  হয়ে পড়েছে। তবে এখানে অসুস্থ বলতে রোগ বালাইকে বোঝানো হচ্ছে না হতে পারে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিড়ালের জ্বর হয়েছে।  বিড়ালের জ্বর এটা কি খুব টেনশন করার মত কিছু? বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় কি? 

এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরের পাশাপাশি বিড়ালের জ্বর সংক্রান্ত সকল বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে। তাই আপনি যদি নিজের আদরের বিড়ালকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন তবে  ঠান্ডা মাথায় পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চিত হোন যে, আপনার বিড়ালের জ্বর হয়েছে কিনা আর হলে কি করনীয়। 

বিড়ালের জ্বর 

আমাদের প্রথমে এটা বুঝতে হবে যে জ্বর কোন রোগ নয় এটি রোগের একটি প্রাথমিক উপসর্গ মাত্র। শারীরিক অসুস্থতার প্রাথমিক একটি লক্ষণ মাত্র যা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থেকে অতিরিক্ত হলে লক্ষণীয় হয়। 

একটা বিড়ালের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হয়  ১০০.৪ থেকে ১০২.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যখন বিড়ালের দেহের তাপমাত্রা ১০২.৫ (39.2°C) ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে বেড়ে যাবে তখন স্বাভাবিকভাবেই সেটিকে জ্বর হিসেবে বুঝতে হবে। আপনার বিড়ালের দৈহিক তাপমাত্রা যদি 103 ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে থাকে তবে অবশ্যই বিড়ালের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রায় সময় দেখা যায় যে অতিরিক্ত জ্বরের কারণে ভাইটাল অর্গান নষ্ট হওয়াতে বিড়াল মারা যায়। 

বিড়ালের জ্বরের কারণ

মানুষের মত বিড়ালের ও জ্বর হয় কিন্তু বিড়ালের জ্বর হওয়ার কারণ কি মানুষের জ্বর হওয়ার কারণ এর মত? ঠিক তেমনটা না বিড়ালের জ্বর হওয়ার স্পেসিফিক কিছু কারণ আছে যা মানুষের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।তবে বিড়ালের জ্বর হলে তার চিকিৎসার জন্য জ্বরের কারণ স্পেসিফিক ভাবে জানাটা জরুরি তাই এই পর্যায়ে আসুন জেনে নেই বিড়ালের জ্বরের কারণ কি। 

সাধারণত বিড়ালের জ্বর হয় দুইটি কারণে সংক্রামক কারণ এবং অসংক্রামক কারণ। নিম্মে দুইটি কারণ কে ভেঙে ভেঙে উপস্থাপন করছি বোঝার সুবিধার্থে। 

সংক্রামক কারণ 

ভাইরাস দ্বারা আক্রমণ:

  • ক্যাট ফ্লু (Feline Viral Rhinotracheitis)
  • Feline Calicivirus
  • Feline Leukemia Virus (FeLV)
  • Feline Immunodeficiency Virus (FIV)

ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন:

  • Urinary tract infections (UTIs)
  • Skin infections
  • Abscesses
  • Dental disease

প্যারাসাইটের আক্রমণ:

  • Roundworms
  • Hookworms
  • Tapeworms
  • Giardia
  • Fleas
  • Ticks

বিভিন্ন ধরনের কুঁচকি:

  • Ringworm
  • Mange

অসংক্রামক কারণ

আঘাতের কারণে ব্যথায়:

  • Car accidents
  • Fights with other animals
  • Falls

অটোইমিউন রোগ

  • Feline hyperthyroidism
  • Feline rheumatoid arthritis

এগুলো ছাড়াও রয়েছে টিউমার বা ক্যান্সার জনিত কারণ, ভেতরগত ইনজুরি, টক্সিন কিংবা পয়জন, বিভিন্ন ওষুধের প্রতিক্রিয়া এবং প্রকৃতিগত কারণ। 

বিড়ালের জ্বর হওয়ার লক্ষণ 

সাধারণ লক্ষণ

১) সাধারণত বিড়ালের নাক ঠান্ডা থাকে। জ্বর হলে নাকের ডগা গরম ও শুষ্ক অনুভূত হবে।

২) আপনার আঙুল দিয়ে বিড়ালের কানের ভেতরের দেখুন জ্বর হলে কান গরম অনুভূত হবে।

৩) জ্বর হলে বিড়াল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমাতে পারে এবং খেলাধুলায় অনাগ্রহী হতে পারে।

৪) জ্বর হলে বিড়ালের খাবারে অরুচি দেখা দিতে পারে।

৫) জ্বর হলে বিড়াল স্বাভাবিকের চেয়ে কম পানি খেতে পারে।

৬) জ্বর হলে বিড়ালের লোম রুক্ষ ও উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলতে পারে।

৭) জ্বরের কারণে বিড়ালের ওজন কমে যেতে পারে।

৮) শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যাওয়া এবং মুখ হাঁ করে শ্বাস নেওয়া

৯)  বিড়ালের দুর্বলতা ও ঝিমুনি দেখা দিতে পারে

১০) বিড়ালের জ্বর হলে Grooming এর মাত্রা কমে যাবে

অন্যান্য লক্ষণ

১) চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়া: এটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণেরও লক্ষণ হতে পারে।

২) কাশি ও হাঁচি: এটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণও হতে পারে।

৩) উল্টি ও ডায়রিয়া: এটি gastrointestinal infection-এর লক্ষণও হতে পারে।

৪) মূত্রনালীর সমস্যা: জ্বরের কারণে বিড়াল বারবার লিটার বক্স ব্যবহার করতে পারে।

৫) চোখের পাতায় লালভাব: এটি conjunctivitis-এর লক্ষণও হতে পারে।

বিড়ালের জ্বর মাপে কিভাবে? 

আপনার বিড়ালের মধ্যে যদি জ্বরের লক্ষণগুলো প্রতিলক্ষিত হয় এবং জ্বর হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে কোন কিছু ঘটে থাকে তবে এই পর্যায়ে এসে আপনাকে বিড়ালের জ্বর মাপার কাজ করতে হবে। এতে করে আপনি একেবারে শিওর হতে পারেন যে আপনার সুস্থ আছে কি-না। প্রশ্ন হচ্ছে বিড়ালের জ্বর মাপে কিভাবে? খুব সহজ আপনি চাইলে ডিজিটাল এবং এনালক থার্মোমিটার ব্যবহার করে জ্বর মাপতে পারেন অন্যথায় সনাতনী পদ্ধতিতে থার্মোমিটার ছাড়াই বিড়ালের জোর মাপতে পারেন নেমে দুটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হলো। 

থার্মোমিটার দিয়ে বিড়ালের জ্বর মাপার নিয়ম 

১) স্বাভাবিকভাবে বিড়ালের জন্মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করে সর্বোত্তম। পাশাপাশি একটি তোয়ালে এবং বিড়াল যদি বেশি দুষ্টু হয় সেক্ষেত্রে একজন সহায়কের প্রয়োজন হবে। 

২)এই পর্যায়ে বিড়ালকে সম্পন্নভাবে শান্ত করে নিন। সাধারণত থার্মোমিটারের মাধ্যমে বিড়ালের জ্বর মাপতে হলে রেক্টাম থেকে তাপমাত্রা নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে রেক্টামের ভেতর থার্মোমিটারটি এমন ভাবে রাখতে হবে যেন ভেতরের মিউকাস মেমব্রেনকে (anus) স্পর্শ করে। থার্মোমিটারটি আস্তে আস্তে ১/২ ইঞ্চি (১.২৫ সেমি) ভেতরে ঢোকান।

৩) এমতাবস্থায় এক থেকে দুই মিনিট রাখলেই থার্মোমিটারটি তাপমাত্রা ডিটেক্ট করতে সক্ষম হবে।

৪) এবার থার্মোমিটারটি বের করে ফেলুন এবং তাপমাত্রা দেখুন। যদি তাপমাত্রা 102.5°F (39.1°C) এর বেশি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই বিড়ালের জ্বর হয়েছে। 

থার্মোমিটার ছাড়া বিড়ালের জ্বর মাপার নিয়ম 

প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, থার্মোমিটারের মাধ্যমে জ্বর পরীক্ষা করাই সর্বোত্তম তবে থার্মোমিটার যদি একান্তই না থাকে তবে থার্মোমিটার ছাড়া জ্বর মাপার পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন তবে এ ক্ষেত্রে একদম সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। থার্মোমিটার ছাড়া বিড়ালের জ্বর মাপতে হলে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যা নিম্মে উপস্থাপন করছি: 

প্রথমে, বিড়ালের স্বাভাবিক তাপমাত্রা সম্পর্কে জানুন:

  • বিড়ালের স্বাভাবিক তাপমাত্রা 100.5°F (38.1°C) থেকে 102.5°F (39.2°C) পর্যন্ত হতে পারে।
  • 6 মাসের কম বয়সী বিড়ালের তাপমাত্রা 103°F (39.4°C) পর্যন্ত স্বাভাবিক হতে পারে।
  • 7 বছরের বেশি বয়সী বিড়ালের তাপমাত্রা 101.5°F (38.6°C) পর্যন্ত স্বাভাবিক হতে পারে।

থার্মোমিটার ছাড়া বিড়ালের জ্বর মাপার কয়েকটি উপায়:

১) কান স্পর্শ করে: যদি কান গরম এবং শুষ্ক অনুভূত হয়, তবে বিড়ালের জ্বর থাকতে পারে।

২) নাক স্পর্শ করে: যদি নাক শুষ্ক এবং গরম অনুভূত হয়, তবে বিড়ালের জ্বর থাকতে পারে।

৩) মুখের ভেতর পরীক্ষা করে: যদি মাড়ি গোলাপি রঙের না হয় এবং শ্বাস দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তবে বিড়ালের জ্বর থাকতে পারে।

৪) পানি পান পর্যবেক্ষণ করে: জ্বর থাকলে বিড়াল কম পানি পান করবে।বিড়ালের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেবে। 

৫) খাওয়ার অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে: বিড়াল কতটা খাচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করুন।

জ্বর থাকলে বিড়াল কম খাবে।

৬) ঘুমের ধরণ পর্যবেক্ষণ করে: জ্বর থাকলে বিড়াল অস্বাভাবিকভাবে বেশি ঘুমাতে পারে।

৭) আচরণ পর্যবেক্ষণ করে: জ্বর থাকলে বিড়াল বিরক্ত, দুর্বল বা অলস মনে হতে পারে।

বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় 

জামাটা বলেছিলাম বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় হল প্রথমেই বিড়ালের জ্বরের কারণ এবং লক্ষণগুলো এনালাইস করতে হবে। চিকিৎসা কর্মের জন্য অবশ্যই বিড়ালের জ্বরের কারণ সঠিকভাবে বুঝতে হবে। প্রাথমিকভাবে বিড়ালের জ্বর হলে বিড়ালের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করতে হবে। ইতিমধ্যে কিভাবে বিড়ালের শরীরে তাপমাত্রা নির্ণয় করবেন বা জ্বর মাপবেন সেই পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছি। 

১) বিড়ালের জ্বর হলে তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণের বিশ্রাম দিতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে পারেন কিংবা কুসুম গরম পানি একটা কাপড়ে নিয়ে শরীর মুছে দিতে পারেন। পাশাপাশি বিড়ালকে হাইড্রেটেড রাখার ব্যবস্থা করতে হবে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার বিড়ালকে খাওয়াতে হবে। বিড়ালের গলা স্বাভাবিক রাখার জন্য বিড়ালের মুখে কিছুটা মধু দিতে পারেন। 

২) আপনার কাছে যদি একাধিক বিড়াল থেকে থাকে তবে অসুস্থ বিড়ালকে প্রথমে আলাদা করে দিতে হবে যাতে করে অসুস্থ বিড়ালের জন্য বাকিরা আক্রান্ত না হয়।  যতক্ষণ না অব্দি সুস্থ হচ্ছে তার থাকার জায়গা পৃথক করে ফেলুন। 

৩) কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মানুষের ঔষধ খাওয়াবেন না। যদিও স্বাভাবিকভাবে মানুষ ও পশুর ঔষধ অনেকটা একই হয়ে থাকে তবে এখানে বেশ কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে যেগুলোর উপর নির্ভর করে মানুষ এবং পশুর ঔষধের ধরন, পরিমাণ, ডোশ ইত্যাদি কম বেশি হবে। যেহেতু মানুষের মত পশুরা নিজেদের অবস্থা বোঝাতে সক্ষম নয় তাই হিতে বিপরীত হওয়া সম্ভব না রয়েছে। এমন অনেক মানুষের ঔষধ রয়েছে যেগুলো বিড়ালের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে নন স্টেরয়েডাল এন্টিইনফ্লামেটরি ড্রাগব্যবহার করতে হবে কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না। 

৪) বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে পশুদের চিকিৎসা করার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। গত কয়েক বছর আগেও এটা পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলেও বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। বিড়ালকে অবশ্যই জর হলে ভেটের কাছে নিয়ে যেতে হবে, ভেটের কাছ থেকে ঔষধ লিখে সেগুলো খাওয়াতে হবে। 

বিড়ালের জ্বরের চিকিৎসা 

বিড়ালের জলের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী হলো বিড়ালকে বিশ্রাম দেওয়া। জ্বর যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে থাকে তবে বিড়ালকে কিছুটা বিশ্রাম নিতে দিলে এবং কিছুক্ষণ পরপর কুসুম গরম পানিতে তার শরীর মুছে দিলে জ্বর এমনিতেই চলে যাবে। তবে যদি জ্বরের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে কিংবা জটিল পর্যায়ে পৌছে যায় তবে ভেটের শরণাপন্ন হতে হবে। বিড়ালের দুর্বলতা এবং পারমশূন্যতা দূর করার জন্য বিড়ালের শিরায় স্যালাইন দিতে পারেন। 

বিড়ালের জ্বরের ঔষুধ এর নাম 

বিশেষ দ্রষ্টব্য এই যে অনলাইন থেকে ওষুধের নাম জেনে বিড়ালকে তা এপ্লাই করা অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কেননা বিড়ালের জলের মাত্রা এবং বিড়ালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি শরীরের কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ঔষুধের বিভিন্ন ডোজ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে নিমের তিনটি ক্যাটাগরির  বিড়ালের জ্বর এর ঔষধ এর নাম দেওয়া হলো: 

জ্বর কমানোর ওষুধ: acetaminophen, ibuprofen

অ্যান্টিবায়োটিক: bacterial infection

অ্যান্টিপ্যারাসিটিক ওষুধ: parasitic infection

বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় সংক্রান্ত FAQ 

১) বিড়ালের জ্বর কতদিন থাকে?

স্বাভাবিকভাবে বিড়ালের চর এক থেকে দুই দিন থাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ অব্দি সময় লাগে বিড়ালের সুস্থ হতে। 

২) বিড়ালের জ্বর কি একা একা ঠিক হয়ে যায়?

জ্বরের মাত্রা যদি হালকা হয়ে থাকে এবং বিড়ালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর ভাবে এটাকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয় সে ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় বিড়ালের জ্বর একা একাই ঠিক হয়ে যায় এক্ষেত্রে সাধারণত ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিড়াল সুস্থ হয়ে যায় তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ অব্দি সময় লাগতে পারে। তবে আপনার বিড়াল যদি খুব সেনসিটিভ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টার পর জ্বর না ছাড়লে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পরামর্শ রইলো। 

৩) কখন Vat-এর কাছে নিতে হবে?

প্রাথমিক চিকিৎসার ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পরেও যদি জ্বর না কমে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

৪) Vat-কে না দেখিয়ে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যাবে কি?

বিড়ালকে কোনভাবে প্যারাসিটামল খাওয়ানো উচিত না বিশেষ করে মানুষের জ্বরের জন্য যে সকল  প্যারাসিটামল ঔষধ গুলো খাওয়ানো হয় সেগুলো। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে নন স্টেরয়েডাল এন্টিইনফ্লামেটরি ড্রাগ ব্যবহার করতে পারেন। 

পরিশেষে কিছু কথা 

এই ছিল যাবতীয় তথ্য আপনার আদরের বিড়ালের জ্বর হলে করণীয় কি সে বিষয়ক। আশা করি এই পর্যায়ে আপনি আপনার বিড়ালের জ্বর হওয়ার কারণ, লক্ষণের পাশাপাশি বিড়ালের জ্বর হলে কি করনীয় সে বিষয়ে জানার পাশাপাশি উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন।  বিড়ালের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে জানতে আমার ছোট্ট Blog টির Cat Health ক্যাটাগরিটি দেখে নিবেন। 

author-avatar

About Salim Mahamud

I am the author of PriyoPets. Here I publish very helpful content about cat health, cat food, cat behavior, and other things that a cat owner needs to know. Personally, I am also a cat lover, and I have two cats also, so I have good knowledge about it.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *