বিড়ালের লোমই হলো তার সৌন্দর্য্য, সেই লোম যদি ঝরে পরে তবে তার আকর্ষনের বস্তুটিই হারিয়ে ফেলবে। বিড়ালের লোম পড়া খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা হলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে চিন্তার বিষয়। তাই বিড়ালের লোম পড়ার কারণ এনালাইসিস থেকে শুরু করে বিড়ালের লোম পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানা খুব জরুরি।
লোম পড়ার এই প্রবণতাকে ইংরেজিতে বলা হয় Shedding যা ঋতু, স্থান, ও বিড়ালের জাতের উপর ভিত্তিতে করে কম বেশি হয়। সাধারণত, গরমকালে লোম বেশি পড়ে যাতে করে বিড়ালের শরীর ঠান্ডা থাকে। অন্যদিকে শীতকালে লোম কম পড়ে যাতে তার শরীর গরম থাকে। এটা খুব স্বাভাবিক একটি চক্র। তবে এই চক্রের বিপরীত ঘটে যদি বিড়ালের কোনো ফাংশনে অসুবিধে হয়। বিড়ালের এই ফাংশন গুলো বুজবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে, পাশাপাশি দিবো সমাধান। তবে চলুন, শুরু করা যাক।
বিড়ালের লোম পড়ার কারণ
বিড়ালের লোম পড়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কিছু কারণ স্বাভাবিক, আবার কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। চলুন, তবে তবে বিড়ালের লোম পড়ার কারণ গুলো জেনে নেয়া যাক:
- বিড়ালের লোম পড়ার স্বাভাবিক কারণ সমূহ
প্রথমত, শীতকালে বিড়ালদের শরীরে ঘন লোমের আস্তরণ তৈরি হয়, যা তাদের ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচায়। আবার গরমকালে এই অতিরিক্ত লোম ঝরে যায়। তাই ঋতু পরিবর্তনের সময় লোম পড়া স্বাভাবিক।
তাছাড়া স্বাভাবিক ভাবেই কম বয়সী বিড়ালের চেয়ে বয়স্ক বিড়ালের লোম বেশি ঝরে। তবে স্পেসিফিক করে কিছু কিছু ব্রিডের বিড়ালের লোম বেশি ঝরে। যেমনপার্সিয়ান, মেইন কুন ইত্যাদি।
- বিড়ালের লোম পড়ার অস্বাভাবিক কারণ
বিড়াল সঠিক খাবার না পেলে বিড়ালের লোম দুর্বল হয়ে ঝরে যার যা কিনা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। অন্যদিকে খাবার অথবা পরিবেশের কারণে বিড়ালের অ্যালার্জি হতে পারে, যার ফলে লোম ঝরতে শুরু করে। এরপর রয়েছে উকুন, মাইট বা কৃমির কারণে বিড়ালের চামড়ায় সংক্রমণ হতে পারে এবং লোম পড়তে পারে।
অন্যদিকে ভয় বা উদ্বেগের কারণেও বিড়ালের লোম ঝরতে পারে। শুধু তাই নয়, ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে লোম পড়তে পারে। সর্বপরি, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বা অন্য কোনো হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণেও লোম ঝরতে পারে।
বিড়ালের অতিরিক্ত লোম পড়ার কারণ কী?
আমরা জেনেছি বিড়ালের লোম পড়ার স্বাভাবিক ও সমস্যাটিক কারণ। তবে যদি এমনটা হয় যে, লোম পড়ার মাত্রা অনেক বেশি? তবে জেনে রাখুন, বিড়ালের অতিরিক্ত লোম পড়ার কিছু নির্দিষ্ট কারণ থাকে। তাই উক্ত কারণ গুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ
- স্ট্রেসনতুন পরিবেশে আসা, নতুন সদস্যের আগমন, অথবা পরিচিত মানুষের অনুপস্থিতি বিড়ালের মধ্যে স্ট্রেস তৈরি করতে পারে।
- খাদ্য পরিবর্তনহঠাৎ করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে অনেক বিড়ালের শরীর তা সহ্য করতে পারে না, যার ফলে লোম পড়তে শুরু করে।
- রোগকিছু রোগ, যেমন – ডার্মাটাইটিস বা রিংওয়ার্মের কারণে অতিরিক্ত লোম ঝরতে পারে।
বিড়ালের প্রতিদিন কত লোম পড়ে?
বিড়ালের প্রতিদিন কিছু পরিমাণ লোম পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তবে, এর পরিমাণ নির্ভর করে বিড়ালের breed, বয়স এবং স্বাস্থ্যের ওপর। সাধারণত, একটি সুস্থ বিড়ালের দৈনিক লোম ঝরার পরিমাণ খুব বেশি চোখে পড়ার মতো নয়। কিন্তু যদি আপনি দেখেন যে, আপনার বিড়ালের লোম অস্বাভাবিকভাবে বেশি পড়ছে, তাহলে নিচের দেয়া স্টেপ গুলো অনুসরণ করুন। সর্বপরি পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই সর্বোত্তম।
বিড়ালের লোম পড়া বন্ধ করার উপায়
১) নিয়মিত ব্রাশ করা
বিড়ালের লোম পড়া কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিয়মিত ব্রাশ করা। আপনি যদি প্রতিদিন বিড়ালকে ব্রাশ করেন, তাহলে আলগা লোম গুলো উঠে আসবে এবং ঘরে ছড়াবে না। এতে করে বিড়ালও আরাম পায়। এক্ষেত্রে বিড়ালকে আদর করে ধীরে ধীরে ব্রাশ করুন। দেখবেন বিড়াল খুবই রিল্যাক্স ফিল করছে। দিনে কমপক্ষে দুইবার ব্রাশ করলে লোম পড়া অনেকটাই কমে যাবে।
২) ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট
যদি আপনার বিড়ালের লোম অতিরিক্ত পড়ে এবং শরীর চিকন হয়ে যায়, তাহলে ভিটামিনের অভাব হতে পারে। এই ক্ষেত্রে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিড়ালের জন্য বিশেষ ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায়, যেগুলো লোম পড়া কমায় এবং লোমকে সিল্কি ও সুন্দর করে।
৩) ঘর পরিষ্কার রাখুন
বিড়ালের লোম যাতে ঘরে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন। সোফা, বিছানা এবং কাপড় থেকে লোম তুলতে বিশেষ ধরনের লিন্ট রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। হচ্ছে, “লিন্ট রিমুভার কীভাবে ব্যবহার করবেন?”
লিন্ট রিমুভার দিয়ে সোফা বা কাপড় ব্রাশ করুন। দেখবেন লোমগুলো সহজেই উঠে আসছে। এই টুলটি খুবই পোর্টেবল, তাই আপনি যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন।
৪) বিড়ালের খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন
বিড়ালের খাবারে প্রোটিন এবং ভিটামিনের পরিমাণ বাড়ান। ভালো মানের ক্যাট ফুড দিন, যাতে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এগুলো লোমের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং লোম পড়া কমায়।
বিড়ালের লোম পড়া বন্ধ করার ঔষধ
বিড়ালের লোম পড়া বন্ধ করার জন্য কিছু সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ পাওয়া যায়। তবে, কোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই Vet-এর পরামর্শ নিতে হবে। এই পর্যায়ে বিড়ালের লোম পড়া বন্ধ করার ঔষধ ও সাপ্লিমেনট সম্পর্কে জানানো হলো:
ওষুধের নাম | কাজ |
ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট | এটি লোমের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং লোম পড়া কমায়। |
বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট | লোম এবং ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করে। |
অ্যান্টিহিস্টামিন | অ্যালার্জিজনিত কারণে লোম পড়লে এটি ব্যবহার করা হয়। |
বিড়ালের লোম কমানোর ঘরোয়া উপায়?
অনেকেই আছে যারা ভেট কিংবা মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে না যেয়ে বিড়ালের লোম কমানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে চায়। তারা মূলত নিচের দেয়া টিপস গুলো অনুসরণ করতে পারেন:
১) অলিভ অয়েল ম্যাসাজসপ্তাহে একবার অলিভ অয়েল হালকা গরম করে বিড়ালের শরীরে ম্যাসাজ করলে লোম পড়া কমে।
২) ক্যামোমিল টিক্যামোমিল টি তৈরি করে ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে বিড়ালের শরীরে স্প্রে করলে ত্বকের জ্বালা কমে এবং লোম পড়া হ্রাস পায়।
৩) নিম তেলনিম তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। সামান্য নিম তেল নিয়ে বিড়ালের ত্বকে ম্যাসাজ করলে লোম পড়া কমে যায়।
কোন বিড়ালের লোম সবচেয়ে বেশি পড়ে?
সকল বিড়ালের সমান ভাবে লোম পড়ে না। কিছু নির্দিষ্ট বিড়ালের breed আছে যাদের লোম অন্যদের তুলনায় বেশি ঝরে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো:
- পার্সিয়ানএদের লম্বা ও ঘন লোম থাকার কারণে বেশি ঝরে।
- মেইন কুনএদেরও লোম অনেক লম্বা এবং ঘন হওয়ায় লোম ঝরার পরিমাণ বেশি।
- হিমালয়ানএরা পার্সিয়ান বিড়ালের মতো, তাই এদের লোমও বেশি ঝরে।
- রাগডলএদের নরম ও সিল্কি লোম বেশি ঝরে।
বিড়ালের পশম বড় করার উপায়
বিড়ালের পশম বড় করার জন্য সঠিক খাদ্য ও যত্নের প্রয়োজন। খাবারের মধ্যে যেগুলো আছে তা হলোপ্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। বিড়ালের খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকতে হবে, যা পশমের বড় করার জন্য কার্যকর।
সর্বোপরি, নিয়মিত গ্রুমিং করলে পশম পরিষ্কার থাকে এবং দ্রুত বাড়ে। তাছাড়া ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট দিতে পারেন, কেননা ভিটামিন ই পশমের বড় করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে কিছু ঔষধ সম্পর্কে জানানো হলো।
বিড়ালের লোম বড় করার ঔষধ
বায়োটিন বিড়ালের লোম বড় করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফিশ অয়েল লোমকে উজ্জ্বল ও লম্বা করতে সাহায্য করে।
বিড়ালের লোম পড়া ও সঠিক গ্রুমিং টিপস
বিড়ালের লোম পড়া কমাতে এবং তাদের সুস্থ রাখতে সঠিক গ্রুমিংয়ের বিকল্প নেই। নিচে কিছু গ্রুমিং টিপস দেওয়া হলো:
১) নিয়মিত ব্রাশপ্রতিদিন বিড়ালকে ব্রাশ করলে মৃত লোম দূর হয় এবং ত্বকের রক্ত চলাচল বাড়ে, যা লোমের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
২) সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহারবিড়ালের জন্য তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। মানুষের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ত্বকের PH এর ভারসাম্য নষ্ট হবে।
৩) নিয়মিত নখ কাটানিয়মিত নখ কাটলে তারা নিজেদের আঁচড়াতে পারবে না এবং চামড়া অক্ষত থাকবে।
বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে কি রোগ হতে পারে?
বিড়াল নিয়ে মানুষের মধ্যে যে সকল ভুল ধারণা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। আসলেই কি তাই? মূলত বিড়ালের লোম যদি মানুষের পেটে যায়, তাহলে সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না। তবে, অতিরিক্ত লোম পেটে গেলে কিছু সমস্যা হতে পারে, যেমন
পেটে ব্যথা (বেশি লোম পেটে গেলে হজম হতে সমস্যা হয় এবং পেটে ব্যথা হতে পারে); বমি বমি ভাব (কিছু ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব হতে পারে); অ্যালার্জি (যদি কারো বিড়ালের লোমে অ্যালার্জি থাকে, তবে পেটে অস্বস্তি হতে পারে)। তবে এতে প্রাণঘাতী বা বড় কোন সমস্যা হবে না।
বিড়ালের লোমে কি জীবাণু থাকে?
হ্যাঁ, বিড়ালের লোমে কিছু জীবাণু থাকে। এই জীবাণু গুলো বিড়ালের ত্বকে বা লালার মাধ্যমে লোমে আসে। জীবাণু গুলো হলো:
১) ব্যাকটেরিয়াস্ট্যাফাইলোকক্কাস বা স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া বিড়ালের লোমে থাকে।
২) ছত্রাকরিংওয়ার্মের মতো ছত্রাক বিড়ালের লোমে সংক্রমণ ঘটায়।
৩) পরজীবীউকুন বা মাইট বিড়ালের লোমে বসবাস করে।
এই জীবাণুগুলো থেকে বাঁচতে বিড়ালকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিৎ। এক্ষেত্রে PriyoPets থেকে বিড়ালের জন্য জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
বিড়ালের লোম পড়া নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর
- সব বিড়ালের লোম সমান পড়ে?
না, সব বিড়ালের লোম সমান পড়ে না। সাধারণত সাদা বা হালকা রঙের বিড়ালের লোম বেশি পড়ে। জিঞ্জার বা কমলা রঙের বিড়ালের লোম তুলনামূলক কম পড়ে।
- লোম পড়া কি কোনো রোগের লক্ষণ?
হ্যাঁ, যদি লোম পড়ার পরিমাণ অতিরিক্ত হয় এবং বিড়ালের শরীর চিকন হয়ে যায়, তাহলে এটি কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- বিড়ালের লোম পড়া কি পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে?
না, বিড়ালের লোম পড়া পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে উপরের উপায়গুলো অনুসরণ করলে লোম পড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমানো যাবে।
- বিড়ালের লোম কি মানুষের জন্য ক্ষতিকর?
সাধারণত ক্ষতিকর নয়, তবে অ্যালার্জি থাকলে সমস্যা হতে পারে।
- বিড়ালের লোমে কি জীবাণু থাকে?
হ্যাঁ, কিছু জীবাণু থাকতে পারে। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
- বিড়ালের লোম বড় করার উপায় কি?
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
- বিড়ালের লোম পড়া বন্ধ করার ঔষধ কি কি?
ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড ও বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
- বিড়ালের লোম কমানোর ঘরোয়া উপায় কি?
অলিভ অয়েল ম্যাসাজ ও নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- কোন বিড়ালের লোম সবচেয়ে বেশি পড়ে?
পার্সিয়ান, মেইন কুন, এবং হিমালয়ান বিড়ালের লোম সবচেয়ে বেশি পড়ে।
- বিড়ালের প্রতিদিন কত লোম পড়ে?
এটা বিড়ালের breed, বয়স, এবং স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে।
চূড়ান্ত মন্তব্য
বিড়ালের লোম পড়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও অতিরিক্ত লোম পড়া উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাই সঠিক সময়ে কারণ নির্ণয় করা উচিৎ বং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে আপনার বিড়ালকে সুস্থ ও সুন্দর রাখা সম্ভব। নিয়মিত গ্রুমিং, সঠিক খাবার, এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বিড়ালের লোম পড়া কমানো যায়। যদি আপনার বিড়ালের লোম পড়া নিয়ে কোনো চিন্তা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন Vet এর পরামর্শ নিন। আপনি যদি Priyopets এর Online Vet এর সাথে যোগাযোগ করতে চান তবে এখানে ক্লিক করুন।