Cat Care

বিড়ালের উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায়

বিড়ালের উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায়

বিড়ালের গায়ে উকুন! উফফ, ভাবলেই গা ঘিনঘিন করে, তাই না? আপনার আদরের বিড়ালের যদি সারাক্ষণ চুলকাতে থাকে, অস্থির হয়ে ছোটাছুটি করে, তাহলে বুঝবেন তার শরীরে বাসা বেঁধেছে ছোট্ট, বিরক্তিকর উকুন। বিড়ালের শরীরে উকুন হওয়াটা বেশ অস্বস্তিকরস কিন্তু চিন্তা নেই! ডাক্তারের কাছে দৌড়ানোর আগে, বরং কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন। 

হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন! আপনার রান্নাঘরেই মজুত আছে এমন কিছু জিনিস, যা দিয়ে সহজেই বিড়ালের শরীর থেকে উকুন তাড়ানো সম্ভব। আজকে আমরা আলোচনা করবো বিড়ালের উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!

বিড়ালের উকুন সমাহার (কি ও কতটা ক্ষতিকর) 

বিড়ালের উকুন (Feline Lice) ছোট, ডানাবিহীন পরজীবী, যা বিড়ালের ত্বক এবং লোমের উপর বসবাস করে। এরা লোমের মাঝে লুকিয়ে থাকে এবং রক্ত চুষে খায়। উকুন খুব ছোট হওয়া ও পশমের মধ্যে লুকিয়ে থাকায় এদের খালি চোখে দেখা কঠিন। সাধারণত, এরা ১-২ মিমি লম্বা হয় এবং কালো রঙের হয়ে থাকে। এদের শরীর চ্যাপ্টা এবং ছয়টি পা রয়েছে। 

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, “বিড়ালের শরীরে উকুন কী কী ক্ষতি করে?” সাধারণত উকুনের জন্য বিড়ালের যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে সেগুলো হলো: 

১) চুলকানি ও অস্বস্তি: উকুন কামড়ালে বিড়ালের শরীরে তীব্র চুলকানি হয়, যা তাদের অস্থির করে তোলে।

২) ত্বকের সংক্রমণ: অতিরিক্ত চুলকানোর কারণে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

৩) লোম পড়া: উকুন আক্রান্ত স্থানে বিড়ালের লোম উঠে যেতে পারে।

৪) অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা): মারাত্মক উকুন সংক্রমণ হলে, বিশেষ করে ছোট বিড়ালছানাদের ক্ষেত্রে, রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

৫) অ্যালার্জি: কিছু বিড়ালের উকুন থেকে অ্যালার্জি হতে পারে, যার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।

বিড়ালের শরীরে উকুন শুধু অস্বস্তিই সৃষ্টি করে না, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। সময়মতো উকুন দূর না করলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই, বিড়ালের শরীরে উকুন দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

বিড়ালের গায়ে উকুন চেনার উপায়

বিড়ালের শরীরে উকুন হয়েছে কিনা, সেটা প্রথমে নিশ্চিত হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে সহজেই উকুন চিহ্নিত করা যায়:

  • অতিরিক্ত চুলকানি: বিড়াল যদি খুব বেশি চুলকায়, তাহলে বুঝবেন সমস্যা আছে।
  • ত্বকে লালচে ভাব: উকুন কামড়ালে ত্বকে লালচে দাগ দেখা যায়।
  • অতিরিক্ত লোম পড়া: উকুন থাকলে বিড়ালের শরীরের লোম পড়া বেড়ে যেতে পারে।
  • উকুনকে চলতে দেখা: বিড়াল শান্ত অবস্থায় থাকলে ভালো করে দেখলে বিড়ালের লোমের মধ্যে ছোট ছোট উকুন চলাফেরা করতে দেখা যাবে। 

বিড়ালের উকুন হওয়ার কারণ

বিড়ালের উকুন হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রধান কারণ হলো: 

কারণবিবরণ
অন্যান্য প্রাণীর সংস্পর্শউকুন সাধারণত অন্য প্রাণী থেকে ছড়ায়। যদি বিড়াল উকুন আক্রান্ত অন্য প্রাণীর সংস্পর্শে আসে, তাহলে তার উকুন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নোংরা পরিবেশঅপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উকুনের বংশবৃদ্ধি দ্রুত হয়। নিয়মিত বিড়ালের থাকার জায়গা পরিষ্কার না করলে ঝুঁকি বাড়ে।
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাদুর্বল ইমিউন সিস্টেমযুক্ত বিড়ালরা সহজেই উকুন দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

বিড়ালের উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায়

এবার আসা যাক বিড়ালের গায়ে উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় প্রসঙ্গে। কিভাবে ঘরোয়া পন্থায় বিড়ালের শরীর থেকে উকুন তাড়ানো যায়, তার কিছু কার্যকরী উপায় নিচে দেওয়া হলো: 

নিমের ব্যবহার

নিম একটি অসাধারণ ভেষজ উপাদান, যা উকুন তাড়াতে খুবই কার্যকর। নিমের মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান উকুন ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

নিম তেল ব্যবহার: নিম তেল সরাসরি বিড়ালের ত্বকে লাগাবেন না। প্রথমে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে নিম তেল মিশিয়ে পাতলা করে নিন। তারপর ধীরে ধীরে বিড়ালের শরীরে লাগান। খেয়াল রাখবেন, তেল যেন চোখের আশেপাশে না লাগে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এটি ব্যবহার করুন।

নিম পাতা সেদ্ধ পানি: কিছু নিম পাতা পানিতে সেদ্ধ করুন। পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটি ছেঁকে নিন। এরপর এই পানি দিয়ে বিড়ালকে ভালোভাবে স্প্রে করুন অথবা একটি কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে দিন।

আপেল সাইডার ভিনেগার

আপেল সাইডার ভিনেগার (Apple Cider Vinegar) উকুন তাড়ানোর জন্য একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায়। এটি উকুন মারতে এবং ত্বকের pH এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ব্যবহার বিধি: আপেল সাইডার ভিনেগার এবং পানি ১:১ অনুপাতে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরুন। এটি বিড়ালের শরীরে স্প্রে করুন, তবে খেয়াল রাখবেন যেন বিড়ালের চোখে না লাগে। স্প্রে করার পর একটি চিরুনি দিয়ে বিড়ালের লোম ভালোভাবে আঁচড়ে দিন। এটি সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন।

নারকেল তেল

নারকেল তেল শুধু আমাদের ত্বকের জন্যই ভালো নয়, এটি বিড়ালের উকুন তাড়ানোর জন্যেও দারুণ কাজ করে। নারকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড উকুন মারতে সহায়ক।

ব্যবহার বিধি: পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিয়ে সামান্য গরম করুন। বিড়ালের শরীরে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন, বিশেষ করে যেখানে উকুন বেশি। তেল লাগানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, যাতে তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। অতিরিক্ত তেল থাকলে তা একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

লবণ এবং রোজমেরি স্প্রে

লবণ এবং রোজমেরি (Rosemary) একসঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করে ব্যবহার করলে উকুন তাড়ানো যায়। লবণ উকুনকে দুর্বল করে দেয় এবং রোজমেরি ত্বকের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহার বিধি: হালকা গরম পানিতে লবণ ও রোজমেরি মিশিয়ে নিন। এই লবণ পানি দিয়ে বিড়ালের শরীর স্পঞ্জ করুন। খেয়াল রাখবেন, বিড়ালের শরীরে কোনো কাটা বা ক্ষত থাকলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত না।

ক্যামোমিল টি

ক্যামোমিল টি (Chamomile Tea) উকুন তাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকের চুলকানি এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। উক্ত ক্যামোমিল টি-এর ব্যবহার বিধি হলো: ক্যামোমিল টি ব্যাগ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর ঠাণ্ডা হতে দিন। এই চা দিয়ে বিড়ালের শরীর আলতো করে মুছে দিন। এটি সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন।

উকুন তাড়ানোর সময় কিছু সতর্কতা: 

  • বিড়ালের চোখে সরাসরি কোনো স্প্রে বা তেল লাগাবেন না।
  • বিড়াল যদি কোনো উপাদানে অ্যালার্জিক হয়, তাহলে সেটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ছোট বিড়ালের ক্ষেত্রে উপাদান ব্যবহারের আগে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিড়ালের বাচ্চার উকুন দূর করার উপায়

বিড়ালের বাচ্চার শরীরে উকুন হলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, কারণ তাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল থাকে। এক্ষেত্রে বাচ্চা বিড়ালের উকুন দূর করার উপায় হলো হালকা গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে আলতো করে বিড়ালছানার শরীর মুছে দিন। তবে বিড়ালছানাদের ক্ষেত্রে যেকোনো ঔষধ ব্যবহারের আগে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

বিড়ালের উকুন মারার ওষুধ

উপরে উল্লেখ্যিত বিড়ালের উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো বেশ কার্যকর। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে কাজ হয় না। যদি আপনার ক্ষেত্রেও ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়, তবে বিড়ালের জন্য তৈরি উকুন নাশক শ্যাম্পু ও স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

বিড়ালের উকুন নাশক স্প্রে

বাজারে বিভিন্ন ধরনের উকুন নাশক স্প্রে পাওয়া যায়। এর মধ্যে জনপ্রিয় ও কার্যকারী স্প্রে হলো: Frontline Flea Spray ও Hartz UltraGuard Plus Spray; স্প্রে কেনার আগে প্যাকেজের নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবহার করুন।  স্প্রে করার সময় বিড়ালের মুখ ও চোখের দিকে খেয়াল রাখুন।

বিড়ালের উকুন নাশক শ্যাম্পু

বিড়ালের উকুন দূর করার জন্য বিশেষ শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এই শ্যাম্পু গুলো উকুন এবং উকুনের ডিম ধ্বংস করতে সহায়ক। শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় প্যাকেজের নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন যাতে কোনো শ্যাম্পু বিড়ালের শরীরে লেগে না থাকে। বর্তমানে বাজারে উকুন নাশক শ্যাম্পু হিসেবে এই শ্যাম্পু গুলো জনপ্রিয় – Advantage Flea & Tick Shampoo, Adams Plus Flea & Tick Shampoo, Vet’s Best Flea & Tick Shampoo; 

  • কীভাবে ব্যবহার করবেন?

প্রথমেই বিড়ালের শরীর ভিজিয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু ভালোভাবে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সবশেষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন।

বিড়ালের উকুন নাশক পাউডার 

বাজারে বিড়ালের উকুন দূর করার পাউডার পাওয়া যায়, যা সরাসরি লোমের মধ্যে লাগানো যায়। এটি উকুন মেরে ফেলতে সাহায্য করে। উকুন নাশক পাউডারের ক্ষেত্রে কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলো: Zodiac Flea & Tick Powder, Hartz Flea Powder ইত্যাদি। প্রশ্ন হচ্ছে, “কীভাবে ব্যবহার করবেন?” খুবই সহজ: 

  • প্রথমে বিড়ালের শরীরে সামান্য পরিমাণ পাউডার ছিটিয়ে দিন।
  • এরপর হাত দিয়ে আলতোভাবে ঘষে দিন যেন লোমের ভেতরে প্রবেশ করে।
  • সবশেষে ব্রাশের দ্বারা অতিরিক্ত পাউডার ঝেড়ে ফেলুন।

বিড়ালের উকুনের ঔষধ

মারাত্মক উকুন সংক্রমণের ক্ষেত্রে একজন দক্ষ Vet-এর পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা উচিত। যাইহোক কেবল জানানোর স্বার্থে কিছু জনপ্রিয় ঔষধ নিচে উল্লেখ করা হলো:

ঔষধের নামব্যবহার বিধি
Fipronilস্প্রে অথবা টপিক্যাল সলিউশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়
Selamectinটপিক্যাল সলিউশন, যা ঘাড়ের পিছনের ত্বকে লাগাতে হয়
Imidaclopridটপিক্যাল সলিউশন, যা ঘাড়ের পিছনের ত্বকে লাগাতে হয়

সর্বোপরি, Flea Killer Spot On 2.5ml একটি অত্যন্ত কার্যকরী উকুন নাশক ঔষধ। এর দাম মাত্র ১৯৯৳। এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং আপনার বিড়ালকে দ্রুত উকুন থেকে মুক্তি দিতে পারে। এই ঔষধটি বিড়ালের ঘাড়ের পিছনের দিকে লাগাতে হয় এবং এটি ধীরে ধীরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পরে উকুন ধ্বংস করে।

চিরতরে বিড়ালের শরীর থেকে উকুন দূর করার উপায়

বিড়ালের শরীর থেকে উকুন সম্পূর্ণরূপে দূর করতে হলে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং উকুন নাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। উকুন দূর করার পর কিছু জিনিস মনে রাখা দরকার, যাতে ভবিষ্যতে আবার এই সমস্যা না হয়। যেমন: 

  • বিড়ালের বিছানা এবং খেলার জিনিসপত্র গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিন অথবা পরিবর্তন করুন।
  • নিয়মিত বিড়ালের শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
  • বিড়ালের শরীর নিয়মিত আঁচড়ে দিন, যাতে উকুন এবং উকুনের ডিম দূর হয়।
  • অন্যান্য পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় টিকা দিন।

বিড়াল বিষয়ক কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

১ম প্রশ্ন: বিড়ালের শরীরে উকুন হলে কি মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে?

উত্তর: সাধারণত, বিড়ালের উকুন মানুষের শরীরে ছড়ায় না। তবে, মানুষের শরীরে সাময়িক চুলকানি হতে পারে। আবার কিছু কিছু সময় শরীরের এসে কামুড় দেয় যা অনেক জ্বালা ও অস্বস্থিবোধের কারণ। 

২য় প্রশ্ন:  সবচেয়ে ভালো বিড়ালের উকুন দূর করার উপায় কী?

উত্তর: নিমের তেল, আপেল সাইডার ভিনেগার এবং নারকেল তেল উকুন তাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকরী। এছাড়াও, Vet-এর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

৩য় প্রশ্ন: বিড়ালের উকুন কি মারাত্মক হতে পারে?

উত্তর: উকুন মারাত্মক না হলেও, এটি বিড়ালের শরীরে অস্বস্তি সৃষ্টি করে এবং ত্বকের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই দ্রুত এর চিকিৎসা করা উচিত।

৪র্থ প্রশ্ন: বিড়ালের উকুন প্রতিরোধের উপায় কী?

উত্তর: বিড়ালকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, নিয়মিত তার বিছানা ধোয়া এবং অন্যান্য পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উকুন প্রতিরোধের অন্যতম উপায়।

৫ম প্রশ্ন: বিড়ালের উকুন দূর করতে কতদিন সময় লাগে?

উত্তর: ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করলে সাধারণত ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে, ওষুধের মাধ্যমে দ্রুত উকুন দূর করা সম্ভব।

৬ষ্ঠ প্রশ্ন: বিড়ালের উকুন কতদিন বাঁচে?

উত্তর: বিড়ালের উকুন প্রায় ৩০ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

৭ম প্রশ্ন: বিড়ালের উকুন দূর করার পর কি ঘর পরিষ্কার করা উচিত?

উত্তর: অবশ্যই! বিড়ালের উকুন দূর করার পর ঘর, বিছানা এবং বিড়ালের ব্যবহার করা জিনিসপত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত, যাতে উকুন পুনরায় সংক্রমণ করতে না পারে।

৮ম প্রশ্ন: বিড়ালের উকুন দূর করার শ্যাম্পু কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তর: বিড়ালের উকুন দূর করার শ্যাম্পু PriyoPets অনলাইন শপে পাওয়া যায়। 

৯ম প্রশ্ন: বিড়ালের উকুন দূর করার জন্য পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া কি জরুরি?

উত্তর: যদি ঘরোয়া উপায়ে উকুন দূর না হয় বা বিড়ালের ত্বকে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়, তবে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

১০ম প্রশ্ন: বিড়ালের গায়ে উকুন হলে কি করনীয়?

উত্তর: প্রথমে উকুন চিহ্নিত করতে হবে এরপর উপরে উল্লেখিত ঘরোয়া কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ ব্যবহার করে উকুন মারতে হবে। 

চূড়ান্ত মন্তব্য 

বিড়ালের শরীরে উকুন হওয়াটা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা, কিন্তু সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করলে এটি মারাত্মক রূপ নিতে পারে। তাই, আপনার বিড়ালের শরীরে উকুন দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন এবং উপরে উল্লেখ্যিত বিড়ালের উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করুন।

যদি ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়, তাহলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার বিড়ালকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে নিয়মিত তার যত্ন নিন। আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। এই বিষয়ে আরো কোনো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *